
সোশ্যাল মিডিয়া বর্তমানে এমন এক মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে যে মাধ্যমের সাহায্যে আমরা খুব সহজেই বিশ্বের যেকোনো কোনায় পৌঁছে যেতে পারি। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছেন আট থেকে আশি সকল বয়সের মানুষ।
ইন্টারনেট জগতে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমরা বুঝি ফেসবুক, টুইটার, মেসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব প্রভৃতি।এইসব জনপ্রিয় প্লাটফর্ম গুলিতে প্রতিনিয়ত নানান ধরনের প্রতিবেদন এবং ফটো বা ভিডিও ভাইরাল হতে থাকে।
যা থেকে বিভিন্ন ঘটনাবলী সম্পর্কে আমরা অবহিত হতে পারি। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গিয়েছে 101 বছরে এক সন্তানের মা হয়েছেন বৃদ্ধা।
আপাতদৃষ্টিতে ঘটনাটি অবিশ্বাস্য হলেও ওভারি ট্রান্সপ্লান্ট এর মাধ্যমে এই ঘটনাটি একেবারেই সত্যি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাহলে আসুন আমাদের এই প্রতিবেদনটি শেষপর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
প্রসঙ্গত ইতালিতে বসবাসকারী এই 101 বছর বয়সী বৃদ্ধার নাম আনাতোলিয়া ভার্তাদেলা। তিনি জানিয়েছেন তুরস্ক থেকে ওভারি ট্রান্সপ্লান্ট করিয়েছেন তিনি।
যদিও তুরস্কে ওভারি ট্রান্সপ্লান্ট করা বেআইনি তাই তিনি ক্লিনিকের নাম প্রকাশ করেননি। আনাতোলিয়ার কথা অনুসারে,”যারা আমার অ-স্ত্রোপচার করেছেন সেই চিকিৎসকদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
এতদিন ধরে আমার ভগবানের কাছে নিজেকে অপ্রয়োজনীয় মনে হতো। ৪৮ বছর বয়সে ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারে আ–ক্রান্ত হওয়ার পর থেকে আমি আর সন্তানের জন্ম দিতে পারিনি।
মাঝে মাঝে ভাবতাম মাত্র ১৬টি সন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্য ভগবান আমাকে শাস্তি দিচ্ছেন। কিন্তু ভগবানের কৃপায় আবারও আমি মা হতে পারলাম। ১৭তম সন্তান এল আমার কোলে”।জানা গিয়েছে,১৯৯৮ সালে আনাতোলিয়ার স্বামী মারা যান।
ইন্টারনেটে শুক্রাণুদাতা খুঁজতে গিয়ে ২৬ বছরের এক ক্যাথলিক যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ হয় এই বৃদ্ধার। এটাই তার কাছে যথেষ্ট ছিল। তিনি শুধু চেয়েছিলাম তার সন্তানকে যেন ক্যাথলিক চার্চ গ্রহণ করে। বৃদ্ধা জানিয়েছেন,তিনি তার সন্তান ফ্রান্সেস্কোর বাবাকে বিয়ে করেননি।
তার সন্তানের জীবনেও ওই যুবকের কোনো ভূমিকা থাকবে না। এই কথা তিনি পোপকে লিখে জানিয়েছিলাম। পোপের নামানুসারে সন্তানের নামও রেখেছেন। তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস, পোপ আমাকে ক্ষমা করে দেবেন। এখনও আমি আমার মৃত স্বামীকে ভালোবাসি।